আপনি যখন ফেসবুক ভিজিট করেন, তখন নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, ব্রাউজারে আপনাকে একটা এড্রেস এন্টার করতে হয়। এই facebook.com হচ্ছে ফেসবুকের এড্রেস। এখানে facebook.com হচ্ছে ডোমেইন নেম, যেখানে .com অংশটা মূলত domain suffix. এরকম আরও বেশ কিছু ডোমেইন সাফিক্স আছে যেমন .net , .info .gov প্রভৃতি।
m.facebook.com এড্রেসে m হচ্ছে সাবডোমেইন। ইন্টারনেটে ওয়েব অ্যাড্রেসমূহ ইউআরএল (URL – Uniform Resource Locator) হিসেবে পরিচিত।সহজ কথায়, ডোমেইন নেম হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের নাম বা পরিচিতি।
প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটের জন্য একটা আইপি এড্রেস নির্ধারিত আছে (এটা শেয়ার্ডও হতে পারে)। আইপি এড্রেস হচ্ছে অনেকটা ফোন নাম্বারের মত। উদাহরণস্বরূপ 159.203.7.113 হচ্ছে একটা আইপি এড্রেস। এভাবে আলাদা আলাদা সাইটের জন্য আলাদা আইপি এড্রেস মনে রাখা খুব কঠিন কাজ। তার চেয়ে কোনো সাইটের অ্যাড্রেস মনে রাখার জন্য Ars99 এর মত ঠিকানা মনে রাখাই সহজ। এছাড়া গুগলে সার্চ করেও পাওয়া যাবে। এজন্যই ডোমেইন নেম ব্যবহার করা হয়। একটা স্ট্যান্ডার্ড .Com ডোমেইনের দাম বর্তমানে মোটামুটি ১০-১২ ডলারের মত। ডোমেইন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের অস্তিত্বের পূর্বশর্ত, যেটা আন্তর্জাতিক একটা নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিকট নিবন্ধন করাতে হয়। এজন্য সব মিলিয়ে ১০-১২ ডলার খরচ হবে। ডোমেইন কেনার জন্য জনপ্রিয় কিছু সার্ভিস হচ্ছে গোড্যাডি, নেমচিপ প্রভৃতি।
ডোমেইন কেনা হয়ে গেলে এবার আপনার সাইটের জন্য হোস্টিং সার্ভিস দরকার। কারণ সাইটের পোস্ট, ছবি প্রভৃতি সংরক্ষণের জন্য একটা জায়গা আবশ্যক। সাইটটি চালাতে যে সফটওয়্যার প্রয়োজন সেগুলোও তো কোথাও না কোথাও ইনস্টল করা থাকতে হবে, তাইনা? হোস্টিং হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে আপনার সাইটের ফাইলপত্র সংরক্ষিত থাকে। বিভিন্ন কোম্পানি হোস্টিং সার্ভিস দিয়ে থাকে। জনপ্রিয় কয়েকটি হোস্টিং কোম্পানি হোস্টগেটর, ব্লুহোস্ট, ড্রিমহোস্ট প্রভৃতি।